রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেলি ও তার বন্ধুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাজশাহীতে আন্দোলন গড়ে তোলেন।
শুরু হয় মিছিল-মিটিং। ওই মিছিলে সরকারের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় গোলাম রহমান, গোলাম তোয়াব, প্রতীশ ঘোষ, আবদুল লতিফসহ অনেক ছাত্রনেতার রক্তে রাঙা হয় রাজশাহীর রাজপথ।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় ছাত্ররা ইট, কাঁদামাটি ও বাঁশ দিয়ে রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে তৈরি করেন দেশের প্রথম 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ'। বিভিন্নগ্রন্থ, গবেষণা, স্মারকপত্র ও ভাষাসৈনিকদের সাক্ষাত্কারে এর স্বপক্ষে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
জানা যায়, ১৯৪৯ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়েও ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেলি। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলে অংশ নেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল তাকে।
'৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র হত্যার খবর পেয়ে রাজশাহীর ছাত্ররা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। ডা. এস এম এ গাফফার, বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলী, অ্যাডভোকেট মহসিন প্রামাণিক ও অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজের নিউ মুসলিম হোস্টেলে আন্দোলনরত ছাত্রনেতারা এক হন।
সেখানে এস.এম.এ গাফফারকে সভাপতি এবং রাজশাহী কলেজের হাবিবুর রহমান ও গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম-সম্পাদক করে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই রাতেই ছাত্ররা রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ইট, কাদামাটি ও বাঁশ দিয়ে 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ' তৈরি করে।
পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফুল দিয়ে শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয় । এরপর পরই সরকারের আদেশে পুলিশ সেটি ভেঙে দেয়।