এটি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে প্রায় আড়াই/ তিন কিলোমিটার পশ্চিমে প্রায় এক একর জায়গা নিয়ে এর অবস্থান।
কথিত আছে, লঙ্কাদ্বীপ থেকে সীতাকে উদ্ধারের পর রাজা নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হলে সীতাকে বনবাসে পাঠান হয়। সেখানে সীতা এক বাল্মিকী মুনির আশ্রয়ে ছিলেন। পরে সীতার থাকার জায়গাটাকে 'সীতাকোট' নাম দেওয়া হয়।
পরে সেখানেই তৈরি করা হয় একটি বৌদ্ধবিহার। আর নাম দেওয়া হয় সীতাকোট বৌদ্ধবিহার।
এই বিহারের চারপাশে রয়েছে নিরাপত্তা প্রাচীর। যেটি এখন ক্ষয়ে গেছে। প্রাচীরের চারদিকে রয়েছে পরিখা।
এই বিহারে ঘরের সংখ্যা ছিল ৪১টি। প্রতিটি ঘর ছিল একই মাপের। ঘরগুলো আকারে কিছুটা ছোট হলেও বাতাস চলাচলের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা ছিল।
এই বিহারটি দেখতে অনেকটা দুর্গের মত। বিহারের উত্তরদিকে ঠিক মাঝামাঝিতে ছিল বিহারের প্রধান ফটক। এর দক্ষিণ দিকে একটি মন্দির ছিল।
সীতাকোট খনন করা হয় ১৯৬৮ সালে। এ সময় সেখান থেকে অনেক তৈজসপত্র পাওয়া যায়। এগুলো দিনাজপুর মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে অনেক মূল্যবান জিনিসও। যার মধ্যে রয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি 'বোধিসত্ব পদ্মপানি' মূর্তি, 'বোধিসত্ব মঞ্জুশ্রী' মূর্তি। অনুমান করা হয় এগুলো সপ্তম- অষ্টম শতকের তৈরি। তবে এখন পর্যন্ত কোন তাম্রলিপি বা শিলালিপি পাওয়া যায়নি। এর ফলে বিহার তৈরির সন, তারিখ বের করা সম্ভব হয়নি।