গাইড ও নোটবই বিক্রি বন্ধ হয়নি

নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলা ও ৪টি পৌরসভা এলাকার দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই।  

অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ গাইড ও নোটবই ছাপানো প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকার বিভিন্ন স্কুল প্রধানের সাথে আতাঁত করে অবশ্যপাঠ্য নামে গাইড ও নোটবই কিনতে বাধ্য করছেন শিক্ষার্থীদের।  

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার ১৯৮০ সালে আইন করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকের নোট বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। এছাড়া উচ্চ আদালতের এক রায়ে গাইড ও নোটবই মুদ্রণ ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।     

এদিকে জেলার সকল উপজেলা ও পৌর এলাকার  বইয়ের দোকান গুলোতে দেখা যায়, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড ও নোটবই প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

অভিভাবক আতিকুল হোসেন জানান, গাইড  বই নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অপর অভিভাবক আব্দুল রাজ্জাক অভিযোগ করে জানান, গাইড বই প্রকাশনার লোকজনের মুনাফা পেয়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা  সিলেবাসে নিষিদ্ধ গাইডবই তালিকাভুক্ত করেন। আর আমরা অভিবাবকরা চড়া দামে সেসব বই কিনতে বাধ্য হচ্ছি ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানদার বলেন, গাইড ও নোট পড়ে না এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সব শিক্ষার্থী গাইড ও নোটবই চাইছে।  

পঞ্চপুকুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কিছু কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গাইড ও নোট বই বিক্রির বিষয়ে আঁতাতের অভিযোগ আছে।

এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র মতে জানা যায়, সরকারিভাবে গাইড বই নিষিদ্ধ। সরকার নির্ধারিত বই ছাড়া অন্য কোন বই পাঠ্য না করতে প্রতিটি প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে।   

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com