পিঠাপুলির কালে

শীতকাল মানেই যেন পিঠা। তাই শীতকালকে পিঠাকাল বললেও বোধহয় ভুল হবে না। অনেক আগে থেকেই হেমন্তে গৃহস্থের ঘরে নতুন ধান ওঠার সাথে সাথেই প্রায় শুরু হয়ে যেত পিঠা উৎসব। ঘরে ঘরে চলত পিঠে খাওয়ার ধুম। আর এই পিঠা বানানো খাওয়া চলত সারা শীতকাল জুড়ে।

পিঠা বাংলাদেশের সংষ্কৃতি আর ঐতিহ্যের অনেক বড় একটা অংশ। বাংলাদেশের যে কোন উৎসবের সাথে রয়েছে রকমারি পিঠা পরিবেশনের প্রচলন।

যদিও আমরা সারাআটা বছর ধরেই পিঠা খেতে ভালোবাসি তবুও শীতের সাথেই পিঠার সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ। আর এসময় খেজুর রস শীতের পিঠা খাওয়ার মজা আরো বাড়িয়ে দেয়। 

আমাদের দেশে অনেক রকমের পিঠার প্রচলন আছে। এদের নামগুলো খুব সুন্দর। এরমধ্যে নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, পাটিসাপটা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও অনেক নামের পিঠা আছে।

শুধু নামই সুন্দর না। এগুলো খেতেও মজা। নতুন ধানের চাল, গুড়, খেজুরের রস, নারিকেল হল এসব পিঠার মূল উপকরণ। কিছু পিঠায় সবজি ও মাংস ব্যবহার করা হয়। সবজি পুলি, সবজি ভাপা ও ঝাল বা মাংস পাটিসাপটা এরমধ্যে অন্যতম।

আমার বয়সী অনেকেই যারা শহরে বাস করে তারা তো পিঠা চেনেই না। তবে নানা উপলক্ষে শহরেও পিঠা উৎসব হয়। হেমন্তে নবান্ন উৎসব, পৌষ সংক্রান্তি উৎসবসহ আরও অনেক উৎসবেই পিঠার আয়োজন করা হয়। তাতে শহরের বাচ্চারা জানতে পারে আমাদের এই ঐতিহ্য সম্পর্কে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com