এতে করে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আর নানা শারীরিক সমস্যা তো আছেই। কারণ অনেক সময় ধরে টেলিভিশন বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে সমস্যা হয়। ঘুম কম হয়, মেজাজও হয়ে যায় খিটখিটে।
এসবের সমাধান হতে পারে গাছ। নিজের ঘরের বারান্দায় বা ছাদে ছোট একটি বাগান করে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া যায়। আর ছোট বাগানটিকে যত্ন করেই কেটে যাবে সময়।
এটি মাঠে খেলার বিকল্প না হলেও ঘরে বসে গেইম খেলে বা কার্টুন দেখার চেয়ে অনেক ভালো। যে কেউ চাইলেই এটা শখ হিসেবে অথবা অবসরে সময় কাটানোর জন্য শুরু করতে পারো।
মজার কথা হল তুমি চাইলে আসবাব পত্রের উপর এমনকি পড়ার টেবিলেও ছোট টবে গাছ লাগাতে পারো। এখন সব শহরেই ছোট নার্সারি থাকায় সহজে ও কম দামে তোমার পছন্দের গাছটি কিনতে পারবে।
আমার মনে হয় গাছ লাগানো ও এর পরিচর্যা তোমাদের আচরণকে বদলে দেবে কারণ যখন কেউ গাছ লাগায় সে স্বপ্ন দেখতে শেখে। আর অবসরের সময়টুকু কম্পিউটার বা ট্যাবে বসে না থেকে গাছের পরিচর্যা করে কাটায়। গাছের যত্ন নিতে গিয়ে তার নিজের মনটাও সুন্দর হয়ে যায়।
তাছাড়া গাছ লাগানো থেকে শুরু করে গাছটির পরিচর্যা, বৃদ্ধি, সৌন্দর্যবর্ধনের ফলে শিশুটির মধ্যে সৌন্দর্যবোধ, ধৈর্য, দায়িত্ববোধ, কর্ম
ক্ষমতা, ভালোবাসা ও সৃজনশীল মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
বিজ্ঞানীদের একটি দল গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে, হাসপাতালে যেসব রোগীর জানালার পাশে থাকে তারা অন্যদের চেয়ে আগে আরোগ্য লাভ করে এবং এর কারণ তারা জানালা দিয়ে প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকে।
যারা প্রকৃতি ভালোবাসো বা গাছ ভালোবাসো তারা ছোট একটা বাগান করেই দেখো। আনন্দ ও প্রশান্তি পাবে।