ছয় ভাইবোনের মধ্যে প্রীতিলতা ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা পেশায় মিউনিসিপ্যাল অফিসের প্রধান কেরানি ও মা ছিলেন গৃহিনী। ছোটবেলায় মা আদর করে তাকে ডাকতেন রাণী এবং বিপ্লবের সময় তার ছদ্মনাম ছিল, ফুলতার। ছোটোবেলা থেকেই প্রীতিলতা মেয়ে হিসেবে ছিলেন একজন অন্তর্মুখী, লাজুক ও মুখচোরা স্বভাবের।
প্রীতিলতা চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯২৮সালে সাথে ম্যাট্রিকুলেশান পাশ করেন। পরে ১৯৩০ সালে ঢাকা ইডেন কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
কলকাতার বেথুন কলেজে বি. এ ভর্তি হন। কিন্ত বিপ্লবের সাথে যুক্ত হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণে অনার্স পরীক্ষা দেওয়া হয় নি। পরে ১৯৩২ এ তিনি বিএ পাশ করেন।
১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাস্টারদা সূর্যসেনের নির্দেশে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পরিকল্পনা করা হয়।
প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সময় পাহাড়তলি ইউরোপিয় ক্লাব ছিল ব্রিটিশদের প্রমোদ কেন্দ্র। তিন ভাগে ভাগ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বিপ্লবীরা ক্লাব আক্রমণ করেন। মিলিটারিরাও পাল্টা আক্রমণ করে। এতে একটি গুলি এসে প্রীতিলতাকে আঘাত করে। আহত প্রীতিলতা ধরা পড়ার আগেই, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মারা যান।
২৪ সেপ্টেম্বর এই বিপ্লবী নারীর ৮৫তম আত্মাহুতি দিবস। শ্রদ্ধার্ঘ্য তার প্রতি।