১৯৭৬ সালের ১৩ অগাস্ট প্রথম বাঁহাতি দিবস পালিত হয়েছিল। কর্মক্ষেত্রে বাঁহাতিদের যে অসুবিধাগুলো মোকাবেলা করতে হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিসব পালন করা হয়ে থাকে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে এ পৃথিবীর ১০ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি।
পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষই রয়েছেন বাঁহাতি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা একজন বাঁহাতি। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিখ্যাত ধনকুবের বিল গেটসের নামও রয়েছে এ তালিকায়। দার্শনিক অ্যারিস্টটল, বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন, ম্যারি কুরি, চন্দ্রবিজয়ী নীল আর্মস্ট্রং, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি সহ অনেকেই বাঁহাতি ছিলেন। অনেক বিখ্যাত ক্রীড়াবিদও আছেন যারা বাঁহাতে খেলে থাকেন।
বাচ্চাদের বাঁহাতি হওয়ার পেছনে রয়েছে জিনগত কারণ। এলআরআরটিটিএম-১ নামের একটি জিন বাচ্চাদের বাঁহাতি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বংশগত কারণেও অনেকে বাঁহাতি হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে যমজ শিশুদের ক্ষেত্রে বাঁহাতি হওয়ার প্রবণতা বেশি।
কেউ কেউ লেখার ক্ষেত্রে বেছে নেন বাম হাত। আবার অনেকে হাতের সব কাজই বাম হাতে করতে চান। তবে এদের সংখ্যা খুবই কম। ডানহাতিদের আধিপত্যই বেশি!
সংখ্যায় স্বল্প এ বাঁহাতিরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অধিকাংশ বিষয়ই বাঁহাতি বান্ধব না। লেখার জন্য টপ লাগানো চেয়ারসহ আরও অনেক কিছু বাম হাতবান্ধব নয়।
এছাড়া কোনো কোনো সমাজে বাঁহাতে কাজ করাকে বাঁকা চোখে দেখে থাকে। তবে প্রাচীনকালে উত্তর আমেরিকার জুনি উপজাতির মানুষেরা বাঁহাতিদের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ভাবত।