১৯৫৫ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর নির্মাতা ও প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ফজলুল হকের বড় সন্তান তিনি। তার মা কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন।
লেখালেখিতে ফরিদুর রেজা সাগরের বেশ শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। তার লেখা গ্রন্থ বেরিয়েছে শতাধিক। এর মধ্যে ‘ছোট কাকু সিরিজ’ ছোট বড় সব বয়সীদের কাছে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বড়দের জন্যও লিখেছেন নানা ধরণের বই। তার লেখা বই মাধ্যমিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য হয়েছে। ‘এক জীবনে টেলিভিশন’ বইটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং গল্প ‘অমি ও আইসক্রিমঅলা’ ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তার লেখা কিশোর সমগ্র বেরিয়েছে সাতটি।
আমার বন্ধু রাশেদসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রের প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন ফরিদুর রেজা সাগর।
তিনি ছোটবেলা থেকেই যুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা এবং চাঁদের হাট প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি বিভিন্ন শিশু-কিশোর বিষয়ক অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ফরিদুর রেজা সাগর বাংলা একাডেমির একজন ফেলো। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপনা সদস্য ও ছায়ানটের কার্যকরী সদস্য। বর্তমানে বিভিন্ন শিশু সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং এসব সংগঠনের তিনি চ্যারিটি মেম্বার। পাক্ষিক ‘আনন্দ আলো’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং আলোচিত পত্রিকা ‘টইটম্বুর’র উপদেষ্টা।
শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য এ যাবত তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, অগ্রনী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, রোমেনা আফাজ স্মৃতি স্বর্ণ পদক, টেনাশিনাস পদক, ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার এবং কবি শামসুর রাহমান শিশুসাহিত্য পুরস্কার।
২০১৫ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত হয়েছেন।