এইডস দিবস

বিশ্বব্যাপী এইডসে মৃতদের স্মরণে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়।

প্রতি বছর পহেলা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থা 'ইউনিএইডস' –র রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে এই পর্যন্ত প্রায় সাত কোটি আশি লক্ষ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এইডসের কবলে এই পর্যন্ত প্রাণ  হারিয়েছেন প্রায় তিন কোটি পঞ্চাশ লাখ মানুষ।

২০১৫ সালে পৃথিবীব্যাপী প্রায় তিন কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।

বাংলাদেশে এইচআইভি এইডসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের তুলনায় বেশ কম। মোট জনসংখ্যার শতকরা একভাগেরও কম মানুষ এইডসে আক্রান্ত।

১৯৮৯ সালে প্রথম বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি সনাক্ত করা হয়েছিল। ইউনিএইডসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার, যাদের অধিকাংশই বিদেশ-ফেরত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের লোকজন।

এইচআইভি এইডসের চিকিৎসায় এই পর্যন্ত 'এন্টিট্রোভাইরাল থেরাপি' সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রক্রিয়া।

২০১৬ সালের জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় এক কোটি আশি লাখ এইডস আক্রান্ত মানুষ এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তি কখনোই পুরোপুরি সেরে উঠেন না।

প্রতি বছর বিশ্ব এইডস দিবস একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে পালিত হয়। ২০১৬ সালের থিম হচ্ছে 'হ্যাণ্ডস আপ ফর এইচআইভি প্রিভেনশান' বা 'এইচআইভি  প্রতিরোধে হাত বাড়ান।'

বাংলাদেশে এইডস প্রতিরোধের কার্যক্রম ১৯৮৫ সালে শুরু হয়।  ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ব ব্যাংকের সাথে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কাজ করে আসছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com