শিক্ষক হত্যা: কেন এ অবক্ষয়?

মন ভেঙে যায় যখন শুনি কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। তা দুর্ঘটনা হোক, হোক আত্মহত্যা বা খুন। সবই খুব মর্মান্তিক।

সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ওই কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও পথচারীর সফর আলী মারা যান। এ মৃত্যু কি স্বাভাবিক?  

গত ২৩ এপ্রিল হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর একই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিক্ষক আবাসিক এলাকায় হত্যা করা হয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলনকে।  

গত বারো বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

এরা হলেন অর্থনীতির অধ্যাপক ইউনুস, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যার অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ, সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক শফিউল ইসলাম এবং ইংরেজির অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী।

গণমাধ্যম থেকে পাওয়া আরও তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের গোড়ার দিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ জন প্রগতিশীল শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।  

তার আগে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহেরকে তার ক্যাম্পাসের বাসায় হত্যা করা হয়।

এরও আগে ২০০৪ সালে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর গ্রামে খুন হয়েছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. ইউনূস আলী।  

আমার কাছে শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু আমারই বা বলি কেন, ছোটবেলা থেকেই শিখে আসছি, শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগর। শৈশব থেকেই শুনে আসছি মা-বাবার পরই শিক্ষকের স্থান। এমন কি আমার মা-বাবা বলেন, শিক্ষকের স্থান সবার আগে।   

তারা জ্ঞানের যে আলো আমার হৃদয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন সে আলোতেই পথ হাঁটি। শুভবোধ ও কল্যাণের দীক্ষা আমি শিক্ষকের কাছ থেকেই পেয়েছি। 

তাহলে ওপরের ঘটনাগুলো ঘটছে কেন? কোন অবক্ষয় এর জন্য দায়ী? তাহলে কি আমাদের শিক্ষার গোড়াতেই রয়েছে গলদ? এখান থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের কে বলে দেবে? যারা শিক্ষক পেটান বা হত্যা করেন তারাও তো কোনো না কোনো শিক্ষকের ছাত্র!

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com