কয়েক শতাব্দী ইংরেজ কবিদের শীর্ষ থাকার পর বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি টি এস এলিয়ট ও এফ আর লেভিস তার কাছাকাছি চলে আসেন। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য জার্নালের কল্যাণে মিল্টনের খ্যাতি একুশ শতাব্দীতেও অটুট রয়েছে।
তিনি ১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর লন্ডনের বানহিলতে মারা যান। মৃত্যুর পর থেকে তাকে নিয়ে গবেষণাও হয়েছে প্রচুর।
১৬৫৮ থেকে ১৬৬৪ সালের মধ্যে মিল্টন তার মহাকাব্য প্যারাডাইজ লস্ট রচনা করেন। ১৬৭৪ সালে কাব্যটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই মহাকাব্যে কবির জীবনের হতাশা এবং ব্যর্থতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
১৬৬৭ সালে স্যামুয়ের সিমন্স নামক একজন প্রকাশকের কাছে তিনি পাঁচ পাউন্ডে প্যারাডাইজ লস্টের গ্রন্থস্বত্ত্ব বেচে দেন। তিনি ১৬৭১ সালে প্যারাডাইস লস্টের পরবর্তি অংশ প্যারাডাইজ রেগেইনড রচনা করেন।
তিনি ১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের চিপসাইডের ব্রেড স্ট্রিটে জন্ম নেন। তার মায়ের নাম সারাহ্ জেফরি ও বাবা মিল্টন সিনিয়র।
তার পড়াশোনার হাতেখড়ি লন্ডনের সেন্ট পলস স্কুলে। স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তারপর তিনি কেমব্রিজের ক্রাইস্টস কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৬২৯ সালে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি লাভ করেন। ১৬২৬ সালে কলেজে পড়ার সময়ই প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কবিতা।
কর্মজীবনে কবি কমনওয়েলথ কাউন্সিল অব স্টেটের বিদেশি ভাষাবিষয়ক সচিব ছিলেন। তারপর ১৬৫১ সালে তিনি কমনওয়েলথ নিউজ পেপার কর্তৃক প্রকাশিত মারকুরিয়াস পোল্লিকাস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৬৫২ সালে তিনি অন্ধ হয়ে যান। তবে অন্ধত্ব কবিকে আটকে রাখতে পারেনি। অন্ধত্ব নিয়েই ১৬৫৮ থেকে ১৬৬৪ সালের মধ্যে প্রাকাশিত হয় কবির জগত বিখ্যাত মহাকাব্য প্যারাডাইজ লস্ট।