বিপ্লবী ক্ষুদিরাম (শেষ পর্ব)

একটি বোমা বইয়ের ভাঁজে রেখে বইটি কিংসফোর্ডের কাছে পাঠান হলো। কিন্তু কিংসফোর্ড বই না খোলার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেন।

শুরু হলো আবার নতুন প্রস্তুতি। প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম কলকাতা রেলস্টেশনে পৌঁছার পর বারীণ ঘোষ তাদের কাছে কিংসফোর্ডকে মারার জন্য বোমা পৌঁছে দিলেন। বোমার সঙ্গে রিভলবার কেনার জন্য কিছু টাকা ও মজঃফরপুরে যাওয়ার মানচিত্র দেয়া হলো।

প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম প্রথম একত্রিত হলেন রেলস্টেশনে। এর আগে কেউ কাউকে চিনতেন না। কথা হলো। কিংসফোর্ডকে হত্যা করার জন্য ইস্পাত দৃঢ় সংকল্প করলেন তারা। এরপর সতর্কতার সাথে চলে যান মজঃফরপুরে। কারণ এখানেই বাস করেন কিংসফোর্ড।

প্রতিদিন ক্লাব হাউজ থেকে সন্ধ্যার পর সাদা ফিটন গাড়িতে করে নিয়মিত বাড়ি ফিরে আসেন কিংসফোর্ড। পাঁচ দিন অতিবাহিত হলো, কিন্তু তাকে হত্যা করার উপযুক্ত সুযোগ পেলেন না।

১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল, ষষ্ঠ দিনে এলো সেই সুযোগ। ক্লাব হাউজ থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত যে পথ, সেই পথের মাঝখানে ঝোপ-ঝাড়ে ঢাকা একটি জায়গায় ওঁত পেতে ছিলেন তারা। সন্ধ্যার পর সাদা ফিটন গাড়িটি তাদের কাছে পৌঁছামাত্র গাড়িটি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলেন। কিন্তু ওই গাড়িতে সেদিন কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দু'জন বিদেশি। বিদেশি দু'জন মারা গেলেন।

অতিদ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করলেন তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। কারণ কিছুদূর যাওয়ার পর পথে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী। প্রফুল্ল চাকী ধরা পড়ার সাথে সাথে নিজের মাথায় রিভলবারের গুলি ছুঁড়ে আত্মহত্যা করেন। এর প্রায় তিন মাস দশ দিন পর ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com