জলাতঙ্ক বা রেবিজ দিবসটি গ্লোবাল এলায়েন্স ফর রেবিজ কন্ট্রোল নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এখানে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে এটি জাতিসংঘের একটি দিবসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনে সমর্থন দিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর রেবিজ কন্ট্রোল জানিয়েছে, জলাতঙ্ক প্রতিরোধের টিকা থাকলেও প্রতি বছর আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। এর মধ্যে অধিকাংশই এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রামাঞ্চলের শিশু।
যদিও বিভিন্ন বন্যপ্রাণির মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে তবে ৯৫ শতাংশ জলাতঙ্ক রোগ শুধুমাত্র কুকুরের মাধ্যমেই ছড়ায় বলে জানায় সংস্থাটি।
এবারের জলাতঙ্ক দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, 'শিক্ষিত করা, টিকা দেওয়া, দূর করা।'
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত ‘জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য’-এর একটি অংশ হলো ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কের কারণে মানুষের মৃত্যু দূর করা।
জলাতঙ্ক প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা প্রচারণা চালাচ্ছে। সাধারণত জলাতঙ্কের ভাইরাসবাহী কোনো প্রাণি কামড় দিলে এ রোগ ছড়ায়। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য কুকুরকে টিকা দেওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে। যদি কোনো কুকুর কামড় দেয় তবে সাথে সাথে ক্ষতস্থান ভালোভাবে ধুয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।