বিশ্ব হার্ট দিবস

জীবন অমূল্য। আর শরীরের ভেতরে জীবনকে জিঁইয়ে রাখে যে যন্ত্র সেটার নাম হৃৎপিণ্ড। এটা যতক্ষণ সচল ততক্ষণ বেঁচে থাকার মেয়াদ। দুর্বল হৃৎপিণ্ড যেমন মানুষকে এগিয়ে যেতে দেয় না, তেমনই মানুষকে বাঁচিয়েও রাখে না বেশিদিন। তাই বেঁচে থাকতে হলে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সুস্থ রাখতে হবে একে।

সুস্থতার লক্ষ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়। ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করছে বাংলাদেশ।

১৯৯৯ সালে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশান, ওয়ার্ল্ড হেলথ আরগানাইজেশানের সাথে যোগ দিয়ে এই দিবস ঘোষণা করে।

হৃৎপিণ্ডের কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ রক্ত সারা শরীরে প্রবাহিত করা। মিনিটে ৭২ বার সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেয়। সাধারণ ভাষায় আমরা হৃৎপিণ্ডকে পাম্পের সাথে তুলনা করতে পারি।

ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশানের তথ্যমতে, বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ হতে পারে মানুষের। প্রাথমিক অবস্থায় দুটি পর্যায়ে হৃদরোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জন্মগত এবং পরর্বতীতে আক্রান্তের সম্ভাবনা। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং প্রতি হাজারে ৮জন শিশু জন্মগত ভাবে হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের হারও আশঙ্কাজনক।

হৃদরোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, বাতজ্বর, গাঁটের ফোলা ও ব্যথা এবং জন্মগত হৃৎপিণ্ডের সমস্যাগুলোই প্রধান। সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে ধনীদেরই হৃদরোগ হয়, এটা ঠিক নয়। যেকোন বয়সে যে কেউ হৃদরোগে আত্রান্ত হতে পারেন।

একজন মানুষ হৃদরোগী হবে কিনা সেটা তার ছোটবেলা থেকেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। আজকাল অনেক শিশু দেখা যায় স্থূলতা (ওবেসিটি) সমস্যায় ভোগে। স্থূল শিশুদের হৃদরোগে আত্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হার্ট ভাল রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতার। আমরা নিজেরা যদি সুস্থ্য সবল জীবন যাপন করতে চাই তাহলে জানতে হবে কিভাবে ভাল রাখা যায় হৃদযন্ত্রকে। একটু শারীরিক পরিশ্রম, একটু নিয়ম মেনে খাদ্যাভাস এনে দিতে পারে আমাদের সুন্দর-স্বাভাবিক-রোগমুক্ত জীবন। মানসিক পরিশ্রমের চাইতে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে হবে। আমরা সবাই জানি, রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com