বিপ্লবী কন্যা প্রীতিলতার আত্মাহুতি

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কাজ করতেন বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্য সেনের সাথে। ২৪ অক্টোবর পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের রাতে প্রীতিলতা আত্মাহুতি দেন।

মাস্টারদা ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইংরেজদের পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। এই আক্রমণের দায়ভার ছিল আরেক বিপ্লবী নারী কল্পনা দত্তের হাতে। ঘটনার সাতদিন আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। এরপর নেতৃত্বের ভার এসে পড়ে প্রীতিলতার ওপর।

২৪ সেপ্টেম্বর ওই ক্লাব আক্রমণের সময় প্রীতিলতা ছদ্মবেশ নেন। রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ এর দিকে ক্লাবে আক্রমণ করা হয়। তিন ভাগে ভাগ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বিপ্লবীরা ক্লাব আক্রমণ করেন। ব্রিটিশ মিলিটারিরা পাল্টা আক্রমণ করলেও বিপ্লবীরা সফল হন। তবে ফেরার পথে প্রীতিলতার বাম পায়ে গুলি লাগে। তিনি ইংরেজ মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়ার আগেই সিদ্ধান্ত অনুসারে পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।  

প্রীতিলতার ডাকনাম রাণী,ছদ্মনাম ছিল ফুলতার। তিনি ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আদর করে মা প্রতিভাদেবী তাকে রাণি বলে ডাকতেন।

এই বিপ্লবী ১৯২৮ সালে কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। আইএ পড়ার জন্য তিনি ঢাকা এসে ইডেন কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৩০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। ১৯৩২ সালে ডিসটিংশান নিয়ে তিনি বিএ পাশ করেন। ছাত্রাবস্থাতেই একটি বিপ্লবী সংগঠনে যোগ দিয়ে লাঠিখেলা,ছোরাখেলাসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।

প্রীতিলতার সংগ্রামী জীবন আমাদের আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। তার আত্মোৎসর্গের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com