সাহিত্য ও সংস্কৃতি ঘরানায় বেড়ে ওঠা মহাশ্বেতা তার লেখালেখির জন্যেই মূলত বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার রচিত শতাধিক বইয়ের মধ্যে হাজার চুরাশির মা, অগ্নিগর্ভ, চোট্টি মুণ্ডা এবং তার তীর, আঁধারমানিক, বেনে বৌসহ অনেকগুলো বই এদেশের পাঠকের কাছেও পরিচিত। আর সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পায় মুণ্ডা বিদ্রোহের পটভূমি নিয়ে তার লেখা উপন্যাস ‘অরণ্যের অধিকার’।
এই লেখক মুণ্ডা ও সাঁতালদের সংগ্রামী জীবন নিয়ে যেমন লিখেছেন, তেমনি লোধা, শবরসহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। লেখার মাধ্যমে এদের ওপর শোষণ এবং বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, সাম্প্রতিক কালে মহাশ্বেতা দেবী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সরকার কর্তৃক বিপুল পরিমাণে কৃষিজমি অধিগ্রহণ এবং স্বল্পমূল্যে তা শিল্পপতিদের কাছে বিতরণের নীতির বিরুদ্ধে তিনি কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
এছাড়া তিনি শান্তিনিকেতনে প্রোমোটারি ব্যবসার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছিলেন।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর কলকাতার একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে চারটায় জীবনাবসান হলো তার। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
এমন কজন মানুষের মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো সমাজের, সাহিত্য জগতের। মৃত্যুঞ্জয়ী তিনি বেঁচে থাকবেন তার লেখার মাঝে, পাঠকের মনে।