ইতিহাস-পতাকার ফেরিওয়ালা

“মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি, তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে যতটুকু জেনেছি সেই চেতনা বুকে ধারণ করে মরতে চাই," কথাগুলো বলছিলেন বিভিন্ন জেলায় পতাকা ফেরি করে বেড়ানো আপন বিশ্বাস।

তিনি বলেন, "যুদ্ধের সময় জন্ম হলে অবশ্যই যুদ্ধ করতাম। সেটা করতে পারিনি বলে মানুষের মাঝে পতাকা বিক্রি করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিলিয়ে দেই।"

আপন বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরে। ও ফরিদপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় পতাকা ফেরি করে বেড়ান তিনি। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবক এই কাজ করেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে পতাকা বিক্রির সময় কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি জানান, প্রাইমারি স্কুলের সামনে পতাকা বিক্রির সময় শিক্ষার্থীদের পতাকা অর্জনের ইতিহাস বলেন তিনি।

সারাদিন ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করতে কষ্ট হলেও গর্ববোধ করেন তিনি।

তিনি বলেন, পতাকা তো আমাদের বিজয় নিশান।

"ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে বিজয় নিশান তুলে দেই। তাদের দেশের গল্প বলি, বিজয়ের গল্প বলি, উদ্বুদ্ধ করি দেশপ্রেমে।"

কথা হয় ওই দলের তারেক হোসেন নামের আরেক জনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ছোট পতাকা ১০ টাকা, মাঝারি ও বড় সাইজের পতাকা ১২০টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলায় পতাকা ফেরি করে করে ফিরে যাবেন তারা।

আবার ২১ ফেব্রুয়ারি বা ২৬ মার্চ এলে ফের বেড়িয়ে পড়বেন পতাকা আর ইতিহাসের ঝুড়ি নিয়ে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com