রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন কিনা সেই হিসাবই মেলাতে পারছে না মাসুদ। কারণ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে একাদশ শ্রেনিতে পড়ুয়া তার একমাত্র ছোট বোনের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
দিনাজপুর শহরের এনায়েতপুর মহল্লায় একটি ঝুপড়িতে ভাড়া থাকে মাসুদের পরিবার। মাসুদের বাবা সহিদুল ইসলাম স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে কাজ করেন।
তিনি বলেন, “এনজিও থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়ে আমি ছেলে মেয়ে দুজনের পড়ার খরচই মিটিয়েছি। আর সারাবছর অন্যের বাড়িতে কাজ করে ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন আমার স্ত্রী।
“কয়েক মাস আগে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর কাজ করতে পারছেন না। ফলে তার চিকিৎসা, সংসার খরচ ও ছেলে-মেয়ে দুজনের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতে পারছি না।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ভর্তির ব্যাপারে বাবার এই অক্ষমতার কথা শোনার পর মাসুদ এখন হতাশ পড়েছেন।
মাসুদ হ্যালোকে বলেন, “এ বছর বাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছি। তবে বাবা জানিয়েছেন, তিনি আমার খরচ দিলে ছোট বোনের পড়ালেখার খরচ দিতে পারবেন না।”
তবে কি তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে, এ প্রশ্ন মাসুদের।