তিনি বলেন, "আমার বয়স ৯৫ বছর। এখনও বয়স্ক ভাতা পাইনি। বয়স কত হলে ভাতা পাব?"
সম্প্রতি মনজয় পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের তৈরি ছোট্ট একটি ভাঙা মাচাং ঘরে একা থাকেন এই বৃদ্ধা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি।
তিনি জানান, তার কোনো আত্মীয় স্বজন নেই। অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটে তার। পেটের দায়ে এই বয়সেও তাই কাজ করতে হয়।
"শুনেছি অনেকেই বয়স্ক ভাতা পায়। আমি এখনও পাইনি।"
তিনি জানান, ২০ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। ভীষণ অভাবে দিন কাটান তিনি।
তবে কারও কাছে হাত পাততে রাজি নন প্রায় শতবর্ষী এই বৃদ্ধা। একাই সংসারের হাল ধরেছেন। এখনও তিনি জুম চাষের কাজ করেন।
তিনি বলেন, সরকারি বয়স্ক ভাতা পেলে কিছুটা হলেও তার অভাব দূর হতো।
এ জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে কয়েকবার ধর্ণা দিয়েছেন বলে জানান।
ইংজোপ্রু বলেন, "বয়স তো কম হয়নি। এ বয়সে কার কাছে টাকার জন্য হাত পাততাম! ভাতার (বয়স্ক ভাতা) টাকা পেলে দুবেলা খেতে পারি।"
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা আর স্বজনপ্রীতির কারণে এই মানুষটি বয়স্ক ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সংবাদকর্মী সাথোয়াইঅং মারমা।
রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা জানান, এলাকার ইউপি সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা প্রদানের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বয়সের বিবেচনায় ইংজোপ্রু মারমা অবশ্যই ভাতা পাওয়ার যোগ্য।
"বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এবার বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা এলে তাকে অবশ্যই দেওয়া হবে।"