জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, “প্রতিটি পূজামণ্ডপে যে কোনো ধরণের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ঝঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে বাড়তি কড়া নজরদারি রাখা হবে।
“সেই সাথে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।”
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার চার উপজেলায় এবার ৯৫টি দুর্গামণ্ডপে চলছে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি।
গতবছর জেলায় মণ্ডপ তৈরি হয়েছিলো ৮৯টি। এবার ৬টি মণ্ডপ বেশি হয়েছে।
প্রতি বছরের মত এবছরও দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, এবছর মা দুর্গা হাতিতে করে পৃথিবীতে আসবেন। এ উপলক্ষে প্রতিমা শিল্পীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তারা জানালেন, কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যাম কুমার হালদার জানান, দুর্গাপূজার খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। গতবছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচশ’ কেজি চাল দেয়া হলেও এবার বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন।
শহরের সড়ক গুলোতেও চলছে অলোক সজ্জার কাজ। এ উৎসব শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও সৃষ্টি করবে দৃঢ় সম্প্রীতির বন্ধন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।