লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুটবল খেলে ইতিমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে তারা। আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখতে চায় এই মেয়েরা।
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এদের অনেকেই ভাল করবেন বলে মনে করেন রাঙ্গাটুঙ্গি ফুটবল একাডেমির পরিচালক ও রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম।
তার অনুপ্রেরণায় প্রায় দুবছর আগে ফুটবল খেলা শুরু করে উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মেয়েরা।
সরকারি সহায়তা ছাড়াই জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে খেলে বেশ কৃতিত্ব অর্জন করে তারা। এরই মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল লীগে জেলা দলের হয়ে খেলে নজর কাড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর।
সম্প্রতি বাফুফে তাদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইতিনা নামের এক খেলোয়াড় বলে, "একদিন জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে খেলব।"
জুলিয়ানা নামের আরেকজন বলে, “একজন ভালো ফুটবলার হয়ে যেন দেশের সুনাম অর্জন করতে পারি এই লক্ষ্যে ফুটবল অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।”
বাফুফের ফুটবল প্রশিক্ষক মাহবুব আলম পলক হ্যালোকে বলেন, “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই মেয়েদের মাঝে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তারা যদি নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন চালিয়ে যায় তাহলে আরো ভালো করবে।”
রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমিকে আরো এগিয়ে নিতে অর্থের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসীন আলী রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।