হ্যালোকে তিনি বলেন, “শুধু অভিযান চালিয়ে এটা বন্ধ করা কষ্টকর। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মিলিতভাবে ক্যাম্পেইন করতে হবে।”
মাইকে ঘোষণা দিয়ে অভিযানে নামলে সেটা বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি মনে করেন। একই সাথে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব দ্রব্যের ব্যবহার যেমন, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ২০০২ সালে পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে সরকার।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০০২ (সংশোধন) অনুযায়ী পলিথিন ব্যাগ বিক্রি, মজুদ প্রভৃতি করা নিষেধ। পলিথিন বাজারজাত করলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ইনসটিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিআইএলএস)-এর আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে পলিথিন-ব্যাগের ব্যাপক ব্যবহারের প্রমাণ চোখে পড়ে।
আজমপুর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া জানান, পলিথিনের ব্যাগে না দিলে ক্রেতারা সবজি নিতে চায় না। বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যাগ কিনে আনেন তিনি।
হাফিজ মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, পলিথিনের ব্যাগে জিনিসপত্র বহন করা সহজ। দামে সস্তা হওয়ায় এর ব্যবহার বন্ধ করা কঠিন বলেও মনে করেন তিনি।
পাইকারী পলিথিন বিক্রেতা আব্দুল আজিজের প্রশ্ন, ‘পলিথিন বিক্রি নিষিদ্ধ এটা সবাই জানে কিন্তু কয়জনে এটা মেনে চলে?’
তিনি বলেন, “পলিথিনের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রিও বেশি। তাই এই ব্যবসা ধরেছি।”
পরিবেশের উপর পলিথিনের প্রভাব সম্পর্কে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো আবদুস সোবহানের সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন, ‘পলিথিন মাটিতে নিঃশেষ হতে ৪০০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এটি সহজে ধ্বংস হয় না।
‘পলিথিন সূর্যের আলোকে প্রতিরোধ করে ফলে পর্যাপ্ত আলো না পেয়ে মাটি গুণাগুণ হারিয়ে ফেলে। পলিথিন মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে।’
পলিথিনের বর্জ্য পানিতে মিশে পানিও দূষিত করে। এছাড়া পলিথিন পোড়ালে বায়ুও দূষিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে পলিথিন মানুষের শরীরে ঢুকে ক্ষতি সাধন করে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম তারিক বলেন, “নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
“সারাদেশে আমাদের আটটি ট্রাস্ক ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করছে।”
নিয়মিত অভিযান চললেও পলিথিনের ব্যবহার কমছে না কেন জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।