বৃহস্পতিবার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আমিরুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে সাতটি উপজেলার ১৬৮টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির মডেল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করার কথাও জানান তিনি।
উত্তর বারবলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য রায় বলেন, “জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সমাপনী পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না।”
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র স্বাধীন বলে, “বন্যায় আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। পরীক্ষার পড়া এখনও শেষ হয়নি। এখনও মডেল টেস্ট হয়নি।"
এ অবস্থার কারণে ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
হাবিজার রহমান নামের এক অভিভাবক জানান, ক্লাস না হলে তার ছেলে পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে না।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে সমাপনী পরীক্ষা শুরুর কথা রয়েছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি পাঠানো তথ্য মতে, রোববারও ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে এবং নদী ভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্যার কারণে জেলায় পাঁচ উপজেলার ৫৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।