শনিবার হোটেল র্যাডিসানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত 'নিরাপদ ইন্টারনেট' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকের পর শিশু সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,"ইন্টারনেটের ভালো ও মন্দ দুই দিকই আছে। এর প্রভাব নির্ভর করে তুমি এটা কীভাবে ব্যবহার করছ তার ওপর।
"আর আমি বলব ভালো দিকটাতে নিজেকে জড়িয়ে রাখার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য।"
তিনি জানান, সার্বিকভাবে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের দিকটি নিয়ে তারা একটু অন্যভাবে চিন্তা করেন। যেহেতু শিশুদের ভালো-মন্দ বিচারের বয়স এখনও হয়নি তাই কোনটা ভালো কোনটা মন্দ, তাদের সামনে তুলে ধরতে চান।
এ ব্যাপারে তিনি স্কুলের শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।
অনেক অভিভাবক সন্তানকে ইন্টারনেট যোগাযোগ দিতে ভয় পান। কিন্তু এটা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।
ইন্টারনেটকে গুরুত্ব দিয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, "তুমি যে কোন তথ্য গুগলে সার্চ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বের করতে পারবে।
"মনে কর তুমি অসুস্থ হয়ে গেলে, অসুস্থতার নাম লিখে গুগলে সার্চ দাও ওষুধের নাম পেয়ে যাবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমার মতে ইন্টারনেটের ভালো দিকটাই বেশি। এতে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশের নানা জিনিস দেখছে, শিখছে।
"আমরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি, অনলাইনে টিকিট বুকিং দিতে পারছি এগুলো অনেক বড় সুফল।
"আর কুফলের দিকটি আমি মনে করি এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যারা খারাপ কাজ করে তারা তো ঘরের বাইরেও খারাপ কাজ করে।"
তিনি বলেন,"তোমাদের ক্ষেত্রে আমি বলব তোমাদের অভিভাবকদের কথা মেনে চলার জন্য। কারণ তারা তোমাদের ভাল-মন্দ বোঝাবেন।"
সবকিছুরই নেতিবাচক দিক থাকে। তবে অভিভাবকরা একটু সচেতন হলে এখান থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।