তিনি জানান, শিশু নির্যাতন ও হত্যার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত সাত মাসেই তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯১ জনে যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ।
হত্যাকারীরা সমাজে নিজেদেরকে জাহির করতেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি ।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি-জুলাই মাস পর্যন্ত মোট ১৯১ জন শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ২৭ জন শিশু এর শিকার হচ্ছে।
এছাড়াও ২০১২ সালে ২০৯ জন, ২০১৩ তে ২১৮ জন এবং ২০১৪ তে ৩৬২ জন শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করার হয়েছে বলে পরিসংখ্যানটিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, মন্ত্রণালয়ের থেকে শিশু নির্যাতনের নীতিগত ও আইনগত দিকগুলো নিয়মিত তদারকি করা হয়।
"অপরাধীদের শতভাগই বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে।"
শিশু হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে তাদের প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই বলেও জানান তিনি।
শিশু হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হলেও তাদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে না বলে দাবি করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুন।
তিনি বলেন,"শিশু হত্যা মামলাগুলোর বেশির ভাগই দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকে।
"নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার বিচারকার্য শেষ হয় না। এতে মামলা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়।"
শিশু নির্যাতন ও হত্যা মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০) অনুযায়ী হয়। আর এই আইনে একজন শিশু হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি।