এ ব্যাপারে কথা হয় কয়েকজন স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে।
নিমতলী আজিজাবাদ সি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোয়ার জানান, তারা শিক্ষার্থীদের সাথে মাঝে মাঝে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
কী আলোচনা করেন সে প্রসঙ্গে বলেন,“কিছুদিন আগে এই বিদ্যালয়ের রুবেল নামের এক ছাত্র প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সে ঘটনায় ছেলে-মেয়ে উভয়কেই স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
“অন্য কোন শিক্ষার্থী যেন এমন কাজ করতে সাহস না পায় এজন্যই এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনার পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়েছে, যাতে এমন ভুল আর কেউ না করে।”
কাউন্সেলিং বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই বলে জানান, ওই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক আকলিমা। এ বিষয়ে তিনি কোন প্রশিক্ষণ বা নোটিশ পাননি।
ফুলঢলুয়া কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জলিল মোল্লা জানান, কাউন্সেলিং সম্পর্কে কোন শিক্ষকই আলাদাভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তবে প্রতি বৃহস্পতিবার আলাদা একটা ক্লাস নেওয়া হয়।
এছাড়া কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় খারাপ করলে সে ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা বের করে আলাদা পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তিনি।
কাউন্সেলিং কিনা তা জানেনা তবে প্রতি বৃহস্পতিবারই বইয়ের বাইরে একটা আলাদা ক্লাস নেওয়া হয় বলে জানায় ওই স্কুলের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মনির।
"এই ক্লাসে আমাদের ভালো-খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।"
দশম শ্রেণির সাবিনা ইয়াসমিন বলে," এই ক্লাসের মাধ্যেমে আমরা অনেক কিছু শিখি যা আমরা আমদের পাঠ্যপুস্তকেও পাইনি কখনো।"