পরীক্ষার্থী মাফিক আল আমিনের সাথে কথা হলে সে জানায়, "আমি প্রশ্ন ফাঁস চাই না। আমি নিজ মেধা দিয়েই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে চাই"।
ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শুধু প্রশ্ন ফাঁস না করার উপর জোর দিলেই হবে না, পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা যেন সুস্থিরভাবে ও নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারে সে দিকেও যেন প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখে।
আঁখি, রাকা, ও রাদিয়া সমাপনী পরীক্ষার্থী। ওদের দাবি, হরতাল, অবরোধ বা প্রশ্ন-ফাঁসে তাদের পরীক্ষা যেন পণ্ড না হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানায় ওরা।
গেল বছরের মত হরতাল, অবরোধ ও প্রশ্ন ফাঁসের কথা মনে করে ওরা উদ্বিগ্ন।
কারণ ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তুমুল হৈ চৈ এর মধ্যে জেএসসি, জেডিসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বসেছিল আধ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে পাসের হার ২০১৩-র থেকে কমেছে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬৬ পয়েন্ট ও শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট। আর ১৭ হাজার ২৬২ জন কম শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তাদের আশা এবার ২৯ নভেম্বর গণিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভালই ভালই শেষ হবে এ পরীক্ষা।