ঝড়ে ঘর ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে গুচ্ছগ্রামবাসী
সরকারি উদ্যোগে তৈরি আটটি ঘরে ৪০টি পরিবার থাকতো।
ভাঙা ঘরের বাসিন্দা শাহাবানু বেগম জানান, "বৃষ্টিতে ঘরে পানি জমে যায়। ঘুমানো যায় না ঘরে। রান্না ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে আর তাই রান্না করতেও কষ্ট হয়।
“আমাদের এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানি না," কথাগুলো বলতে বলতেই ঘরে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করছিলেন তিনি।
তার স্বামী রাজ্জাক বলেন, "আমাদের থাকার জন্য এই ঘর ছাড়া আর কোনো ঘর নেই। এই ঘর দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।"
মিনা খানম নামের অপর বাসিন্দা জানান, তাদের এই ভাঙা ঘরে থাকতে খুবই কষ্ট হয়। আর টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঘরে পানি জমে গেছে। অফিসাররা মাঝে মাঝে দেখতে আসেন আর বলেন, দ্রুত ঘর মেরামত করে দেওয়া হবে। কিন্তু কোন কাজ হয় না।
তারা বাইরের কারও সাথে এসব আর বলতে চান না।
মিনা আক্ষেপ করে বলেন,"ভাই এগুলা শুনে আর কি করবেন? অনেক বার অনেক সাংবাদিক এসেছে, ছবি তুলে নিয়া গেছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি।"
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন হোসেন বলেন,"গুচ্ছগ্রাম সরকার ঠিক করে দেয় না। তবে এই ঘরগুলো সারানোর জন্য আমি আবেদন করেছি।
"সেপ্টেম্বর মাসে সরকার থেকে বরাদ্দ আসলে ঘর মেরামত করে দেওয়া হবে।"