এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় বর্ষা মৌসুমে নদীর তীব্র স্রোতে অতি মাত্রায় পাড় ভাঙতে আরম্ভ করেছে। ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা, জমি-ফসল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই এখন ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানান তারা।
শিবালয় উপজেলার ৫নং আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান খান মাসুম জানান, এই ইউনিয়নের মালুচী, মান্ডারখোলা, জগত্দিয়া, বাউলিকান্দা ও নয়াকান্দি গ্রাম এখন পদ্মা ভাঙনের মুখে। ইতোমধ্যে ৮-১০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
আরো ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসী রহিজ মিয়া জানান, তার বসতবাড়িটুকু ছাড়া সব জমিজমা নদীতে ভেঙে গেছে। কিছু দিনের মধ্যে হয়তো তাও থাকবে না।
"পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে।"
ঘর-বাড়ি, জমি-জমা সবকিছুই নদীতে ভেঙে গেছে গফফার হোসেনের।
নিজের বলতে আর কিছুই নেই বলে জানান তিনি।
"এখন আমি রাস্তার পাশে কোন রকম ঘরটা তুলে আশ্রয় নিয়েছি।"
এছাড়া সরকারি কোন অনুদান বা সাহায্য পাননি বলেও জানান তিনি।
ভাঙন ঠেকানো না গেলে পুরো এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান নদী পাড়ের বাসিন্দা রমজান আলী।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়াররা ভাঙন দুর্গত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছেন।
তিনি বলেন,"নদী ভাঙন রোধের জন্য জরুরি একটি টেন্ডারও পাশ হয়ে এসেছে। খুব শীঘ্রই এর কাজ আরম্ভ হবে।"
নদী ভাঙনের শিকার লোকজনের নামের তালিকা করে তাদেরকে জেলা প্রশাসন থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।