চিকিত্সা শেষে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে বুধবার দুপুরে সে বাড়ি যায়। গত ১৯ জুলাই রোববার রাতে হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পরিচালিত শিশু সাংবাদিকতার সাইট হ্যালোতে নিয়মিত লেখে সুজন। এছাড়াও সে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও কাজ করে।
হামলা প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক আবু তালেব বলেন, “ঘটনার রাতেই থানায় অভিযোগ করা হলেও পরবর্তীতে সুজনের পরিবার তা তুলে নেয়।”
তবে পুলিশ বিষয়টির উপর নজর রাখছে বলে জানান তিনি।
গত ২ জুলাই কুড়িগ্রামের কালীবাড়ির সংলগ্ন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমির ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবি করে ওখানে নির্মিত পুজামণ্ডপ উচ্ছেদ করার ঘটনায় সুজন ফেইসবুকে ক্ষুব্ধ স্টেটাস দেয়। এ নিয়ে হামলাকারীদের একজনের সাথে ফেইসবুকে কথা কাটাকাটি হয় তার।
হামলার ঘটনায় পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুজনের মা কুকিলা বলেন,"আমরা গরিব মানুষ। কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না। সবার সাথে মিলমিশ করে থাকতে চাই।"
সুজনের বড় ভাই উজ্জ্বল মোহন্ত বলেন,"অভিযুক্তের বাবা ও এলাকার মুরুব্বিরা ভুল স্বীকার এবং মিলমিশ করে দেয়ায় আর কোন দাবি নেই।"
ঈদের পর দিন তার উপর এই হামলার কথা বলতে গিয়ে সুজন বলে,"সেদিন রাতে গল্প করার কথা বলে পূর্ব পরিচিত বাঁধন আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নছর উদ্দিন মার্কেটর পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি আরও চারজন আছে।
"সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হুট করে পেছন থেকে আমার দুই হাত চেপে ধরে দুইজন। আর একজন একটা ছুরি গলার কাছে ধরে বলে, এখন তোকে কে বাঁচাবে? অনেক বড় সাংবাদিক হয়েছিস তাই না? নেতা হয়েছিস?
"পরে তারা আমাকে মাটিতে ফেলে ইচ্ছেমতো লাথি, ঘুষি দেয়।"
পরে তার চিত্কারে লোক জড়ো হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলাকারীদের মধ্যে তার কলেজের ছাত্র বাঁধন এবং মণ্ডপটির জমির মালিকানা দাবিদার আমজাদ আলীর ছেলে আকিবকে সে চিনতে পারে।
ফেইসবুকে কথাকাটির জেরেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ সুজনের।
এদিকে অভিযুক্ত আকিবের বাবা আমজাদ হোসেন ঘটনাটিকে অপ্রীতিকর উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা পাড়া প্রতিবেশী। সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
তিনি হাসপাতালে সুজনকে দেখতে গেছেন বলেও জানিয়েছেন।