এলাকাবাসী জানায়, ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থাই এমন।
নিয়মিত যাতায়াতকারী মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা এনায়েত করিম জানান, চার-পাচঁ বছর থেকেই রাস্তার অবস্থা খারাপ।
"একবার এলজিইডির উদ্যোগে কাজ শুরু হলেও সেটা আর শেষ করা হয়নি।"
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর-ঝিটকা রাস্তার শিমুলিয়া সেতুর দুই পাশে কাদা জমে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এই রাস্তার ঢাকাইজোড়া মাষ্টারবাড়ী সেতু থেকে ইন্তাজগঞ্জ গঙ্গাসাগর সেতু পর্যন্ত চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিবেদকের সামনেই শিমুলিয়া সেতুতে উঠতে গিয়ে একটি টেম্পুর সামনের চাকা ভেঙে যায়। অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন যাত্রীরা।
এ রাস্তায় প্রতিদিনই এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, টেম্পু, ভ্যান, মোটরসাইকেল, নছিমন চলাচল করে বলেন, স্থানীয় রুহুল আমীন।
তিনি বলেন, এটাকে রাস্তা না বলে আবাদি জমি বলাই ঠিক। এই রাস্তার জন্য আর কত ভোগান্তি হলে কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি মেরামত করবে।
টেম্পু চালক আব্দুর শহীদ জানান, তারা টেম্পু চালকেরা নিজ উদ্যোগে কয়েকবার সেতুর ঢালে মাটি ফেলেছেন।
"কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা দেখে না। আজকে আমার টেম্পুর একটা চাকা ভেঙে গেল।"
বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে না বলে মনে করেন ওই টেম্পুযাত্রী নাজমা খাতুন।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ জানান, রাস্তাটি মেরামত করার দায়িত্ব এলজিইডির।
তিনি জানান, এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। রাস্তাটি মেরামতের জন্য তাদের কাছে একটি বাজেটও এসেছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে কাজ আরম্ভ করা হবে বলে জানিয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
শিবালয় উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, আগেও রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার কাজে গরমিল করায় তা থামিয়ে দেওয়া হয়।
"এখন নতুন ঠিকাদার নেওয়া হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আগের অসম্পূর্ণ কাজসহ বাকি কাজ করবে তারা।"
আগামী এক বছরের মধ্যে ঠিকাদার কোম্পানিকে রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।