বহু প্রতিক্ষার পর বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েও এখন ঠিকমতো বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানান, রিক্সাচালক মো. সাহিন।
তিনি বলেন,"এই দেহি বিদ্যুৎ আছে আবার এই দেহি নাই।
"আগে তো বাতি জ্বালানোর জন্য কেরাসিন কেনতাম। এহন বিদ্যুৎ আওয়ার পর থেইকা বিদ্যুৎ আর কেরাসিনের খরচা দুইটাই দেওন লাগে।
"একসঙ্গে দুইটা কেনা মোর দ্বারা সম্ভব না।"
এছাড়া ভোল্টেজ কম থাকার কারণে পাখা না চলায় গরমে অমানুষিক কষ্ট করতে হয় বলে জানান মাহতাব হোসেন নামের আরেকজন ভুক্তভোগী।
তিনি আরও জানান, সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না। এমনকি কয়েকদিন ধরে সেহেরীর সময়ও বিদ্যুৎ পান না তিনি।
প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় বলে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে বলে জানান আরও কয়েকজন গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে বরগুনার পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ বলেন,"চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করছে সরকার।
"তবে প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া বিতরণ ব্যবস্থার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, ভাণ্ডারিয়া থেকে বরগুনা পর্যন্ত গ্রিড লাইনের মাঝে তিনটি নদী আছে। এগুলো পার হয়ে গ্রিড লাইন পৌঁছেছে বরগুনা পর্যন্ত। দীর্ঘ এ লাইনের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা। একটু বৃষ্টি অথবা ঝড় হলেই খাম্বা উপড়ে পড়ে যায়, গাছপালা উপড়ে লাইনের ওপর পড়ে বলে বৃষ্টির আভাস পেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।