ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করে কর্তব্যরত সার্জেন্ট সাইফুলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "প্রশাসন থেকেও এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেওয়া নেই।"
তাই টেম্পু, বাস, মিনিবাসে শিশু হেল্পারদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
আগে শিশু চালকের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হতো কিন্তু এখন তারা জন্মসনদে বয়স বাড়িয়ে লাইসেন্স নেয় বলে কিছু করার থাকে না বলে জানান তিনি।
"গরিব পরিবারের সন্তান সবাই। পেটের তাগিদে করে। অনেকেরই জন্ম পরিচয় নেই। তাই কাজ করে খেতে হয় এদের।"
রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেইট, মালিবাগ, ধানমণ্ডি, চকবাজার, লালবাগ,বাংলামোটরসহ বিভিন্ন রুটের বাস, মিনিবাস ও টেম্পুর হেল্পার এমনকি চালক হিসেবেও শিশুদের দেখা যায়।
ফার্মগেইট-নীলক্ষেত রুটের টেম্পুতে হেল্পারের কাজ করে ফয়সাল। বয়স আট বছর। দিনে তার আয় দেড়শ’ টাকা।
ফয়সাল জানায়, বাড়িতে অভাব বলে বাধ্য হয়ে কাজ করে ও।
শিশুদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দেওয়ার ব্যাপারে কথা হয় গাড়ির চালকের সঙ্গে।
তিনি জানান, হেল্পারের সঙ্কট থাকায় ফয়সালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মিরপুর ১০-মোহাম্মদপুর রুটে টেম্পু চালায় শফিক। ওর বয়স ১৪।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে ও জানায়- ‘আছে’।
১৪ বছর বয়সে লাইসেন্স পেল কী করে প্রশ্নের জবাবে জানায়, জন্মসনদে বয়স বাড়িয়ে ও লাইসেন্স করেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, এসব বাস, মিনিবাস ও টেম্পুতে চালক ও হেল্পার হিসেবে কাজ করে অনেক শিশু।
শ্রম আইন অনুযায়ী, শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া যায় না। এছাড়া শিশুদের দিয়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো ও ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের শ্রম একেবারেই নিষেধ করা হয়েছে আইনে।