নওগাঁর মহাদেবপুর থানার বাগাচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযোগ না থাকলেও এলাকায় রয়েছে সংযোগ।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন,"বিদ্যুৎ নেই কিনা তা আমি জানি না। জেনে জানাতে হবে।"
স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমে ফ্যান ছাড়া টিনশেড স্কুলটিতে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন জানায়, তীব্র গরমে ক্লাস করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে ওদের।
অভিভাবক আব্দুল কাদের বলেন, “ফ্যান না থাকায় এই গরমে স্কুলে আসতে চায় না আমার সন্তান।”
২০১৩ সালের আগে কমিউনিটি স্কুল ছিল এটি। এখনও ক্লাস চলছে আগের ভবনেই। এক শিক্ষক জানালেন স্কুলের নতুন ভবন তৈরি হবে বলে শুনেছেন। নতুন ভবন হলে তবে বিদ্যুৎ মিলবে এমনটাই চাউর আছে স্কুলে।
“একই সঙ্গে ক্লাস চলায় বাচ্চারা মনোযোগ দিতে পারে না।”
এই স্কুলে পড়ছে ১০২ জন শিক্ষার্থী। স্কুলের দুইটি শ্রেণিকক্ষেই সব ক্লাস হয়। এমন কি আলাদা বসার ব্যবস্থা না থাকায় ক্লাস না থাকলেও ক্লাসরুমে বসে থাকতে হয় শিক্ষকদের। স্কুলের অফিসের যাবতীয় কাগজপত্র, আলমারি এই দুই ক্লাস রুমেই রাখতে হয় জানালেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর হোসেন জানায়, তাদের স্কুলে কোনো টিউবওয়েল নাই। পানি আনতে বড় রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়।
ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে গিয়ে সহকারী শিক্ষক সুমি বানু জানান, পানি খেতে বাচ্চাদের নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মত ব্যস্ত একটি রাস্তা পার হতে হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কিছুদিন আগে একটি টিউবওয়েল বসানো হলেও তা চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি টয়লেটই ব্যবহারের অনুপযোগী।
এত সব সমস্যার ব্যাপারে সরকারি করণীয় জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, সমস্যাগুলোর কথা তিনি জানেন। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সব মন্ত্রণালয়ের হাতে, তাদের আর কিছু করার নেই জানান তিনি।