ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাইসা, ওর বোন রামিসা আর ওদের বন্ধুদের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে কথা হয় ঢাকার কাকরাইল সার্কিট হাউজ রোডের পাশে। ওরা সবাই সাইকেল চালায়।
রাইসা বলে, “খেলার জন্যে ফাঁকা জায়গা না থাকায় সাইক্লিং-ই একমাত্র ভরসা।
“শুধু বিনোদনের জন্য নয়, স্কুল ও কোচিং-এ যাওয়ার সময়ও সাইকেলেই যাই। এতে ব্যায়ামের পাশাপাশি সময়ও বাঁচে।
কিন্তু মেইন রোডে সাইকেল চালানো তার কাছে বিপজ্জনক মনে হয়।
কজন দলবেঁধে সাইকেল চালাতে মজা পায় তারা, বলে জানল রামিসা।
এই আনন্দ উপভোগ করতে ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ত রাস্তায় নামে তারা।
রাইসার বন্ধু হাসিব একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মেইন রোডে সাইকেল চালায় বলে ওর বাবা-মা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাকে সব সময় সাবধানে চালাতে বলেন।
এ কারণে ওর বাবা-মা মনে করেন শহরে বড় রাস্তার পাশে সাইকেল চালানোর জন্য আলাদা রাস্তা থাকা দরকার।
ওদের আরেক বন্ধু সামিহা জানায়, সাইক্লিং করার জন্য পথচারীরা অনেক সময় উৎসাহ দেয়, সাহায্যও করে।
কিন্তু এই চালাতে গিয়ে বখাটেদের ইভটিজিং-এর শিকারও হতে হয়েছে ওকে বলে জানায়।
সে মনে করে, সাইকেলের জন্যে আলাদা লেইন থাকলে আরো অনেক মেয়েই সাইকেল চালাবে। এতে মেয়েদের সাইকেল চালানোটা অস্বাভাবিক লাগবে না এবং বখাটেদের উৎপাতও কমবে।
তার মা মিনা আলমও মেয়ের কথায় সায় দিয়ে বলেন, ব্যস্ত সড়কে সাইকেল চালান মেয়েদের জন্য একটু বেশি-ই বিপদের।
বখাটেদের কটুক্তি করার কথা জানতে পেরে তিনি তার মেয়েকে সাইকেল চালাতে তেমন উৎসাহ দেন না।
তবে সাইকেল চালানোর জন্য আলাদা লেইন হলে মেয়েকে ছাড়তে কিছুটা স্বস্তি বোধ করবেন বলে জানান তিনি।