সন্তানকে নিয়ে শঙ্কায় কর্মজীবী মায়েরা

কর্মজীবী সব মাকে সন্তানদের যত্ন ও বড় করার ক্ষেত্রে সবসময় বাড়ির অন্য লোক, কাজের লোক বা ডে-কেয়ার সেন্টারের ওপর ভরসা করতে হয়।

কিছু কিছু কাজের জায়গায় ডে-কেয়ার সেন্টার থাকায় মা সন্তানকে সাথে নিয়ে যান। তবে এর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি। এ কারণে কাজের জায়গায় গিয়েও মাকে দুশ্চিন্তা পোহাতে হয়।

এসব নিয়ে কথা হয় কয়েক জন কর্মজীবী মায়ের সঙ্গে।

সন্তানকে রেখে কাজে যাওয়ার অনুভূতির কথা জানান কলেজ শিক্ষিকা রিদম মোস্তাফিজ।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বয়স মাত্র দুই বছর। ওকে ওর নানুর কাছে রেখে কলেজে যাই। তারপরও খারাপ লাগে , দুশ্চিন্তা হয়।

"মেয়েও আমাকে খোঁজে। আমি ছাড়া সে অন্য কারো কাছে খাবারও খেতে চায় না।"
 
এছাড়া সব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের জন্য 'ডে-কেয়ার সেন্টার' থাকলে কর্মজীবী মায়েরা স্বস্তি পাবেন বলে তিনি মনে করেন।

স্মার্টেক্স ফ্রেবিকস লিমিটেড নামের এক পোশাক কারখানায় কাজ করেন হনুফা বেগম।

তিনি বলেন, তার কাজের জায়গায় বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে কোনো আত্মীয় স্বজন নেই বলে ঝুঁকি নিয়েই ছেলেকে অন্যের বাসায় রেখে যান।

"সারাক্ষণ ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করি। অযত্নে ছেলেটা দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে।"

এছাড়া ছেলের অসুখ লেগেই থাকে বলে তিনি জানান।

চৈতি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির কর্মী আমেনা বেগমের কাজের জায়গায় শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র থাকলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব ছোট। তাই তিনি নিজের বাচ্চাকে সেখানে রাখেন না।

কর্তৃপক্ষ পরিচর্যা কেন্দ্রটিতে শিশুদের জন্য সুযোগ বাড়িয়ে কারখানায় কাজ করা মায়েদের সাহায্য করতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।

রোকসানা বেগম নামের আরেক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, আমি আমার তিন বছরের মেয়েকে পাশের বাসার ভাবির কাছে রেখে কাজে যাই।

মাস শেষে তাকে তিন হাজার করে টাকা দিতে হয়। আমি ও আমার স্বামী দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকায় মেয়েকে ততটা সময় দিতে পারি না।

"মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য হই। তাই মেয়েকে একদমই সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com