এছাড়া বাজারও ঝাড়ু দিতে দেখা যায় কাজলী ভূইমালী (১০) ও পলাশ ভূইমালী (৭) নামের ওই শিশু দুজনকে।
স্কুল যাবার পথে মাঝে মাঝে দেখা হয় ওদের সাথে।
স্কুলে যাও না কেন জিজ্ঞেস করলে কাজলী বলে, স্কুলে যাইয়েই, তবে ঝাড় দিবার।
“মোর বাবা পঙ্গু তাই হামাকে কাজ করিব লাগে।”
কথা বলে জানা যায়, ওর বাবা কালিদাস ভূইমালী মাস কয়েক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।
তিনি বলেন, "ছাওয়াক (সন্তানকে) স্কুলত পাঠের মোনয়ে (পাঠাতে মন চায়) কিন্তু মুই পঙ্গু।
“মুই কিসের স্কুলত পাঠাম, ছাওয়ায় মোক খাওয়াছে।"
এ ব্যাপারে বাকডোকরা নিমোজখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক জাহিদ বলেন, কাজলী স্কুলে ভর্তি আছে তবে সে ক্লাসে আসে না।