খোর্দ্দ সোনাখুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা জানালেন তাদের দুরাবস্থার কথা।
৭৬ শতক জমির উপর ১৯৪৪ সালে গড়া এই স্কুল বছর দুয়েক আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। সেথানে দুই শিফটে পড়ান ১০ জন, আর পড়ে ৫৬০ জন।
এ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ফারজানা আক্তার।
ও বলে, ‘ক্লাসরুমের অভাবে আমরা একটি বেঞ্চে ঠাসাঠাসি করে বসি। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে এখন গরমের দিনে বেশি কষ্ট পাই।’
বিদ্যালয়ের রয়েছে দুটি ভবন। একটি ১৯৯১ সালে, অপরটি ২০০৫ সালে তৈরি। পুরাতন ভবনে তিনটি আর নতুন ভবনে চারটি শ্রেণিকক্ষ। যার একটিতে বসে অফিস।
এছাড়া দুটি শ্রেণিকক্ষে বাঁশেরবেড়া দিয়ে ভাগ করে সংখ্যায় রুম বাড়ানো হয়েছে। তাই অল্প জায়গায় চাপাচাপি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা আছে জানালেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা পারভীন।
সমস্যার কথা অনেক আগে থেকেই কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে আসছে তিনি।
সে কথা স্বীকারও করলেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীব। বিষয়টি তিনি তারও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবেই জানিয়েছেন বললেন।
স্কুলের সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় শিশুশ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। শিশুশ্রেণির ক্লাস হচ্ছে মাদুর পেতে বিদ্যালয়ের সামনে গাছতলায়, আর পুরাতন ভবনের নলকূপের ঘরে পাঠ নিচ্ছে অষ্টমশ্রেণির পড়ুয়ারা।
মন খারাপ করে শহরের স্কুলের সঙ্গে তাদের স্কুলের তুলনা করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শুভ।
সে বলে, “ওখানে ফ্যান আছে, আর আমাদের ঠিকমত বসার জায়গাও নাই।”