চাঁদে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছবি দেখা যাচ্ছে ফেইসবুকে এমন প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিল জয়নাল আবেদীন বাবুল নামের একজন অভিভাবক। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রায় ঘোষণার পর সাইদীকে চাঁদে দেখা গেছে গুজব ছড়ানো হয়। এতে মানুষজন বিভ্রান্ত হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় সহিংস ঘটনাও ঘটে।
বাবুল বলেন,"আমিও এই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিলাম। রাত ২ টায় ফেইসবুকে ছবি দেখে বাস্তবে দেখার জন্য ঘর থেকে বের হই।"
পরে সে বুঝতে পারে এটা ফেইসবুকের মিথ্যা প্রচার।
দেশে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার হলেও বেশিরভাগ মানুষই বোঝে না, এর মাধ্যমে মিথ্যাও প্রচারিত হয়।
বিকৃত ছবি নির্মাতাদের সম্পর্কে ফেইসবুক ব্যবহারকারী বিষ্ণুপদ রায় নামের একজন অভিভাবক বলেন,"মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে প্রতিনিয়ত তারা রাষ্ট্রে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ছক কষে চলেছে।
"স্বাধীনতা বিরোধীরা নতুন প্রজন্মের কাছে মিথ্যা বানোয়াট ইতিহাস প্রচারেও এপথ অবলম্বন করছে।"
তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেশে উন্নতির পাশাপাশি অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে। অনলাইনে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে মত দেন তিনি।
এছাড়া অনেকই জানে ফটোশপে অশ্লীল ছবি বা ভিডিও বানিয়ে মানুষকে সমাজে হেয় করার জন্য ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়ে থাকে।যেহেতু যে কেউ যে কোন জায়গা থেকে এসব ইন্টারনেটে ছড়াতে পারে তাই এ ধরণের মিথ্যা প্রচার বন্ধ করা সম্ভব না বলে মনে করে ফেইসবুক ব্যবহারকারী আজমত রানা।
তিনি বলেন,"এটা প্রযুক্তির অভিশাপ। কিছু দুষ্ট লোকের বাজে অভ্যাসের জন্য এমন হয়।"
ফেইসবুক ব্যবহারবারী শফিক পারভেজ পরাগ নামের এক তরুণ মনে করেন, এসব ছড়ানো বন্ধ করা যাক না যাক যারা এসব অপরাধ করছে তাদের মুখোশ উম্মোচন করে বিচারের আওতায় আনা দরকার।
বিচার না হলে অপরাধ সংঘঠিত হওয়াটাই স্বাভাবিক বলেও মনে করেন তিনি।