ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোইকা বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি কিম বক হী ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মি. এডওয়ার্ড বিগবেডার এর সাথে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবার দ্বিতীয় বারের মত কোইকা থেকে অনুদান নিল।
কোইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, আমরা আশা করছি যে এই সাহায্য মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল চার ও পাঁচ এর লক্ষ্যমাত্রা শিশু ও মাতৃমুত্যু হ্রাসে গতি সঞ্চার করবে।
এছাড়া তিনি মনে করেন এই কার্যক্রম দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করবে।
তিনি আরও জানান, প্রথম পর্যায়ের কোইকা-ইউনিসেফ যৌথ স্বাস্থ্য সেবা কার্মসূচি সফল হওয়ার কারণে খুলনা ও টাঙ্গাইল জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই অনুদানে ৬৪ লক্ষ (৬.৪ মিলিয়ন) মানুষকে ৪ বছর পর্যন্ত সেবা দেওয়া হবে। আর এখানে স্বাস্থ্য সেবাই মূলত অগ্রাধিকার পেয়েছে।
এখানে গর্ভবতী মহিলা ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ছাড়াও ১৫-৪৯ বছর বয়সী মহিলারা সেবা পাবেন।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বিগবেডার বলেন, কোইকার উদার সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিকে দৃঢ় করব, যাতে নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর জটিল সমস্যাগুলো ভালোভাবে সমাধান ও হ্রাস করা যায়।
প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যু নির্মূল করা একটি জটিল উদ্যোগ। কোইকা ও অন্যান্য সহযোগীদের সাথে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি কোইকার চলমান সহযোগিতার জন্য ইউনিসেফের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দেন।
স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি খাতের উন্নয়ন কর্মসূচি (২০১১ - ২০১৬) বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ইউনিসেফ সহায়তা দিয়ে আসছে যা দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য খাতকে আওতাভূক্ত করেছে।