এখানকার ৬টি বড় হোটেলসহ অন্যান্য হোটেলগুলোতে পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। শনিবারে হ্যলো সরেজমিনে সমুদ্রতীরে গিয়ে জানতে পারে, বার্মিজ মার্কেট ও ঝিনুক মার্কেটে কমে এসেছে ক্রেতার সংখ্যা।
মহাম্মদুল হক নামের এক দোকানদার হ্যালোকে বলেন, “চলমান হরতাল ও অবরোধের কারণে ব্যবসায়ের দিন দিন অবনতি হচ্ছে। দোকানের জন্য পণ্য ক্রয় করা যাচ্ছে না। ক্রেতার অভাবে দোকানের বিক্রয়ও কমে গেছে।”
দফায় দফায় হরতাল ও অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা অবরোধের কারণে সারা দেশের মত কক্সবাজারবাসীকেও পোহাতে হচ্ছে নানা ধরনের দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হতে পারছে না। এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে প্রতিদিন আশংকায় ভুগছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
ইয়াসিন আরফাত নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অনুনয় করে বলেন, “আমাদের পরীক্ষা দিতে দেন সুষ্ঠুভাবে। আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে অসুবিধা হচ্ছে আর খুব উদ্বিগ্ন থাকতে হচ্ছে। প্রস্তুতি ভাল হচ্ছে না।"
চলমান হরতাল ও অবরোধে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ আশংকাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি নানা ধরণের অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এভাবে চলতে থাকলে কক্সবাজার অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়বে মানে দেশও পিছিয়ে পড়বে।