বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহীতে কেউ ঘুরতে আসলে এখানে একবার ঢু মেরে যান। এতে কর্তৃপক্ষের আয়ও বাড়ে। কিন্তু অবহেলা আর সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাবে দিন দিন সৌন্দর্য বাড়ার বদলে হারিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এই চিড়িয়াখানা থেকে সিটি কর্পোরেশন আয় করেছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। আর এই সময়ে পশুপাখির খাবারের জন্য ব্যয় হয়েছে ৬৮লাখ টাকা।
"তবে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে আয় বেড়ে দাঁড়ায় এক কোটি ৪০হাজার টাকায়। কিন্তু এই অর্থবছরে পশুখাদ্যে খরচ হয়েছে ৬৭লাখ টাকা।"
স্থানীয় একজন জানান, পশুগুলোকে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয় না। তাই দেখা যায়, বেশির ভাগ পশু-পাখিই বছর ধরেই অসুস্থ থাকে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, এরই মধ্যে চিড়িয়াখানার অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে বাঘ ও সিংহের মতো পশু আনা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজশাহী জেলা পরিষদের অধীনে ১৯৭২ সালে প্রায় ৩৩ একর জমিতে কেন্দ্রীয় উদ্যানটি চালু হয়ে ১৯৮৫ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানায় উন্নীত হয়। তবে উন্নয়ন ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এটি সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে।