এ উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় প্রশাসন ১৪ ডিসেম্বর রোববার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সকালে শহরের রেহাইচরে তার স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এছাড়াও জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ চত্বরে শহীদের কবরে ফুল দেওয়া হয়। পরে কোরানখানী, মিলাদ মাহফিল, দোয়া, আলোচনা সভা ও গরীবদের খাবার দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হয়েছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৬ মার্চ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্ম নেন।
১৯৬৪ সালে মুলাদী মাহমুদ জান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করার পর ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ওই বছরই তিনি ক্যাডেট হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মোহদীপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগ দেন। তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে যুদ্ধের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মহানন্দা নদীর দক্ষিণ পাশে বর্তমান সেতুর শেষ সীমায় ছিল পাকিস্তান সেনাদের ঘাঁটি। সেখানে সন্মুখ যুদ্ধে ১৪ ডিসেম্বর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর শহীদ হন। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর সোনামসজিদ চত্বরে বীরযোদ্ধা শহীদ মেজর নাজমুল হকের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।