সোমবার সকালে প্রথমে কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের অদূরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সাহেববাজারের সামনে সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধের সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
গত রোববার দুপুরে রাজশাহীর কাঁটাখালীতে দুটি বাসের সংঘর্ষে রাজশাহী কলেজের তিন ছাত্রী নিহত এবং আরো অন্তত ২০জন আহত হয়।
নিহতের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার, কলেজের নিজস্ব বাস কেনার, স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, যাতায়াতের জন্য প্রতি বছর কর্তৃপক্ষ তাদের থেকে ফি আদায় করে। কিন্তু কলেজের কোন নিজস্ব বাস নেই।
সাতটি ভাড়া বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ঠাসাঠাসি করে চলতে হচ্ছে তাদের।
ছাত্রদের দাবি প্রসঙ্গে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে আমিও একমত।
“আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনটি বাস কেনার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।”
কলেজের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে অধ্যক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সাহেববাজারের জিরোপয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা।
এতে সাহেববাজার বড় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
বেলা সোয়া একটার দিকে আন্দোলনকারীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আতঙ্কে মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করে এবং সাহেববাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত করে।
এ সময় রাজশাহী কলেজের সামনে গিয়ে অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।