শেষের দিকে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ মিনারের কাজ

তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটে ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নগরীতে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের হামলায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঘটনার কয়েকদিন পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুনরায় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেন। 

নির্মাণাধীন শহীদ মিনার দেখতে স্কুল কলেজ শেষে ছুটে আসছে ছাত্রছাত্রীরা। শহীদ মিনারে ঘুরতে আসা সিলেট সরকারি এমসি কলেজের ছাত্র রিফাত আহমেদ জানায়, দৃষ্টিনন্দন এরকম শহীদ মিনার আমি এর আগে কখনো দেখিনি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মাদ জানায়, সিলেটে এত সুন্দর একটা শহীদ মিনার এর আগে আমি কল্পনা করতে পারিনি।

১ শ ফুট চওড়া ভূমির ওপর ৪৫ফুট উচ্চতার শহীদ মিনাটির নকশা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক শুভজিত চৌধুরী।

এই স্তম্ভের পেছনে অনেকটা সবুজ টিলার মতোই উঁচু-নিচু ভূমি রয়েছে। আর তিনটি সাদা স্তম্ভের মাঝে লাল গোলাকৃতির বস্তুটি যেন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে নতুন বার্তা জানান দিচ্ছে।

সিলেটের চা-বাগানগুলোতে গাছের ফাঁক দিয়ে ভোরে যেমন করে সূর্য ওঠে, দূর থেকে দেখে ঠিক তেমনটাই মনে হবে। এই রকম সিলেটি-ঐতিহ্যের আবহ ধারণ করেই নির্মিত হচ্ছে সিলেটের এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

বিজয় দিবসের আগে এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার হিসাবে ১৯৮৮ সালে সিলেট অঞ্চলে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। সিলেটের কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কিছু প্রগতিশীলের চেষ্টায় নির্মিত শহীদ মিনারটি সিলেটের চৌহাট্টায় অবস্থিত। তখন থেকেই সব অধিকার, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রাণ।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সব কর্মসূচিও এখানেই পালিত হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com