সদরের হাতে গোনা কয়েকটি বিদ্যালয়ে দুই একজন শিক্ষক দুপুর পর্যন্ত ক্লাস খোলা রাখলেও বেলা ২টার পরই সব স্কুল বন্ধ দেখা যায়।
সোমবার দুপুরে ৫২ নং দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের মাঠে পতাকা উড়লেও ক্লাস রুমে রুমে তালা ঝুলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলো খোলাই হচ্ছে না।
দৌলতপুর স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জয়নাল জানান, কয়েক দিন পরেই স্কুলের অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা।
"স্যার-আপাদের সম্মান জানিয়ে অনুরোধ করছি আপনারা বাচ্চাদের প্রতি একটু যত্নবান হোন। এখন স্কুল বন্ধ থাকলে বাচ্চারা পরীক্ষায় কি লিখবে?"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, বার্ষিক পরীক্ষার আগে আমাদের নোট করে পড়ানো দরকার।
"স্কুল বন্ধ, স্যার-আপারা না থাকায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।"
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হারেস বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সময়ে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চালু রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
"যে সব বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ছাড়া বাকি বিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রম চালু থাকার কথা। আর পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত শিক্ষক ছাড়া বাকিদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।"
"শিক্ষকরা তা করছেন না, এটা আমার জানা নেই।"
খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।