এ কাজের জন্য জেলার ছয় উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের জন্য উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সম্মানী বরাদ্দ ছিল।
অভিযোগ উঠেছে অন্যান্য উপজেলার চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসাররা জুন মাসেই বরাদ্দকৃত ২৪ হাজার টাকা পেলেও ভেড়ামারার চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসাররা এখনও টাকা পাননি। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদ এই টাকা আত্মসাত করেছেন।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, টাকা নেবার কাগজে সই করিয়ে নিলেও সে সময় কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।
"বলা হয়েছিল বরাদ্দের টাকা এখনো পাওয়া যায়নি। পেলে দেওয়া হবে। তবে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সে টাকা দেওয়া হয়নি।"
ভেড়ামারার ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুল আলম লালু বলেন, প্রতিবন্ধী জরিপে সম্মানী ছিল এটা জানা ছিল না। তাদের বলাই হয়নি টাকার কথা। তারা কেউই এই টাকা পায়নি বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তি মণি চাকমা বলেন, টাকা না পাবার বিষয়টি শুনেছিলাম। এ ব্যাপারে দুইবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বলা হলে তারা টাকা দেবার আশ্বাস দিয়েছিল।
তবে এরপর কি হয়েছে তার জানা নেই। কারণ তার কাছে আর কোনো অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি আবার দেখা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল গণি বলেন, সমুদয় টাকা দেওয়া হয়েছে এমন কাগজ পেয়েছি। টাকা পায়নি এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। "তবে টাকা না দিয়ে থাকলে অন্যায় করা হয়েছে।"
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসার মাসুদের সাথে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদের বরাত দিয়ে উপ-পরিচালক আব্দুল গণি জানান, ভেড়ামারায় একজন ট্যাগ অফিসারের সঙ্গে সমাজসেবা অফিসারের বিরোধ চলছে। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ আনা হয়েছে।