বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পার হলেও এখানে সরকারিভাবে কোন ভবন তৈরি করা হয়নি। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীরা এই জরাজীর্ণ টিনের ঘরেই ক্লাস করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটিতে কক্ষ রয়েছে মোটে দুইটি। এরমধ্যে একটির চাল কালবৈশাখীতে উড়ে গেছে। আর বাকিটার চালের টিনে মরচে ধরেছে।
স্কুলটির এক শিক্ষার্থী জানায়,আকাশে মেঘ দেখলেই ওরা বাড়ি চলে যায়। আর এই বর্ষাকালে ওরা মাত্র তের দিন ক্লাস করেছে।
"দরজা জানালা উই পোকা খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এছাড়া দেয়ালে কয়েকটি বড় বড় ফাটলও রয়েছে।"
আরেক শিক্ষার্থী জানায়, ভাঙা দেখে অনেকে অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ স্কুল আসা বন্ধ করে দিয়েছে। ভয় লাগে স্কুল কখন ভেঙে যাবে।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম বলেন,"স্কুলের এই অবস্থার জন্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াও নষ্ট হচ্ছে।
"এই অবস্থার কথা আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানিয়েছি।"
এলাকাবাসী রেজাউল ইসলাম বলেন,"এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় আমার বাবা ৩০ শতক জমি দিয়েছেন। প্রয়োজনে আরও ২০ শতক জমি দেবো। কিন্তু অনেক জায়গায় কথা বলেও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কিছু করতে পারিনি।"
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,"ওই স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে নতুন ভবন নির্মানের অনুমতিসহ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হবে।"