ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এই বছরের প্রথম দিকেই।
তাই তারা প্রায় বছর ধরেই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করেছে। নতুন ক্লাস রুমগুলোতে তালা দিয়ে রাখায় ক্ষোভও প্রকাশ করে সে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ময়নুল ইসলাম তুহিন বলে,"খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয়েছে বলে ঠিকমতো পড়ায় মনোযোগ দিতে পারিনি।
"সামনেই সমাপনী পরীক্ষা। খুব চিন্তায় আছি আমরা।"
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্র নাথ অধিকারী বলেন,"ভবনের কাজ শেষ হলেও তা এখনও বুঝে পাইনি।"
যদিও কাজ শুরুর সময়ে উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় বাচ্চাদের ক্লাস করার জন্য ছোট একটি টিনের চালা তৈরি করা হয়েছিল তবে সেটা ২৫৪ জনের জন্য যথেষ্ট ছিল না বলে জানান তিনি।
"আমার স্কুল অন্যান্য বছর সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে। তবে এবারের ফলাফল নিয়ে আমি শঙ্কায় আছি। কারণ স্কুলের পরিবেশ বাচ্চাদের পড়ার উপযোগী ছিল না।"
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বললে প্রতিষ্ঠানের অংশীদার তাজুল ইসলাম জানান, সব কাজ শেষ হয়েছে। টয়লেটের সামান্য কিছু কাজ বাকি থাকায় হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।
কাজ বাকি কেন জানতে চাইলে বলেন,"কাজ শুরু করার ছয় মাস পর আমাদের টয়লেটের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমাদের কিছু অসুবিধা আছে এখন। তাই দেরি হবে।"
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ জানান, একই সাথে কাজ শুরু হওয়া অন্য ভবনগুলোর বেশিরভাগই হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ভবনের ছোটখাট কিছু সমস্যা থাকার কারণে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বলেন,"আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।"