নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বাগডোকরা গ্রামের এই স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুলের বাঁশের বেড়া ভেঙে গেছে।
বেড়ার উপর মরচে পড়া টিনের চাল। একটু জোরে বাতাস হলেই মড়মড় করে ওঠে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মামনি রানি জানায়, স্কুলের চাল ভাঙা বলে একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাসে জল পড়ে।
স্বাস্থ্যসম্মত কোনো টয়লেট নেই। পানির কলও নেই স্কুলে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মমতা রানি জানায়, তাদের স্কুলের বেঞ্চ বাঁশের তৈরি। তাও পর্যাপ্ত নয়।
“তাই মাদুর পেতেই ক্লাস করি।”
স্কুলটির এই অবস্থার মধ্যেও সমাপনি পরীক্ষায় গত দুই বছরে শত ভাগ পাশের রেকর্ড করেছে।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে এর প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তী রয় বলেন,"স্কুলের নতুন ভবনের অনুমোদন হয়েছে।
“শুনেছি উপজেলা শিক্ষা অফিস আমাদের স্কুলের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় কাগজ পাঠিয়েছে। আশা করি হয়ে যাবে।"